Header Ads

বিসিএস বা যেকোন লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার জন্য ১০ টি টিপস, (10 Tips for getting highest marks in BCS or any written exam)

student-geniusmanik.com

টিপস (সুস্পষ্ট ধারনা):  প্রতিটি বিষয়ে ভালো marks পাওয়ার জন্য উত্তরপত্রে সঠিক উত্তর প্রদান, উত্তরপত্রটি সঠিকভাবে মার্জিন (margin) ও ভাঁজ করার সঠিক নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারনা থাকা অত্যাবশ্যক।

 টিপস (মার্জিন): পরীক্ষার্থীদের অনেকে উত্তরপত্রটি মার্জিন (margin) করার জন্য প্রতিটি পৃষ্ঠার ওপরে ৩ ইঞ্চি ও বাঁয়ে বা বামে ২ ইঞ্চি করে মার্জিন (margin) করে থাকে। এ ধরনের মার্জিন (margin) এর ফলে উত্তর লেখার পৃষ্ঠায় খালি জায়গা কমে যায়। তাই উত্তরপত্রের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ওপরের দিকে ১.৫ ইঞ্চি ও বাঁয়ে বা বামে ১ ইঞ্চি করে মার্জিন (margin) করতে হবে। তাছাড়া্ও উত্তরপত্রের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ডানে ও নিচের দিকে ০.৫ ইঞ্চি ফাঁকা রাখা উচিত।

টিপস (প্রশ্নের নম্বর): পরীক্ষার্থীদের অনেকে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় প্রশ্নের নম্বর ভালোভাবে বা সঠিকভাবে লেখে না। উত্তরপত্রের একেবারে বাম দিকে খুব ছোট করে লিখে থাকে। এতে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে তা বুঝতে পরীক্ষকের খুব অসুবিধা হয়। তাই প্রশ্নের নম্বরটি উত্তরপত্রের মাঝ বরাবর স্পষ্টভাবে লিখবে এবং নিচে (underline) দাগ দিয়ে দেবে।

টিপস (পরীক্ষার উপকরন): পরীক্ষার খাতায় মার্জিনের জন্য তোমরা পেনসিল বা নীল বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করবে। প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, জ্যামিতি বক্স, হার্ড বোর্ড, (যদি বেঞ্চ ভালো না থাকে) কমপক্ষে বাড়তি একটি কলম ইত্যাদি একটি প্লাস্টিকের ফাইলে পরীক্ষার আগের দিন রেডী (ready) করে রাখবে। 


টিপস (PTO লেখার প্রয়োজনীয়তা): প্রতিটি পৃষ্ঠার শেষ অংশে অনেক পরীক্ষার্থী ছোট বা বড় করে PTO/ পরবর্তী পৃষ্ঠায় দেখুন/ চলমান পাতা…… লিখে থাকো। এগুলো লিখে সময় অপচয় করার দরকার নেই। কেননা একজন পরীক্ষকের প্রধানে দায়িত্ব হল কোনও পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রটি প্রথম থেকে মেষ পর্যন্ত পরীক্ষা করে সঠিক নম্বর( marks) প্রদান করেন।


টিপস (লাল বা সবুজ কালি নিষেধ): কোনও প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় শিরোনাম থাকলে, সেগুলো রঙিন কালিতে অনেকে লিখে থাকো। এগুলো দরকার নেই। এগুলোর জন্য অতিরিক্ত কোন নম্বর প্রদান করা হয় না। আসলে উত্তরপত্রে কালো বা নীল কালি ছাড়া অন্য কালি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহার করা ঠিক না। অন্য কোনও কালি (লাল বা সবুজ) পরীক্ষকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ব্যবহার করে থাকেন।

টিপস (পৃষ্ঠা অপচয় না করা): উত্তরপত্রে উত্তর লেখার সময় তোমাদের অনেকে প্রচুর পৃষ্ঠা অপচয় করে থাক। খালি পৃষ্ঠা রেখে পরবর্তী পৃষ্ঠায় লেখ, দুই লাইনের মাঝখানে ইচ্ছামতো বেশি করে ফাঁকা রাখ। এ কাজগুলো পরীক্ষার্থীর করা ঠিক না। এতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর ওপর পরীক্ষকের বিরুপ ধারনা আসতে পারে। এজন্য তোমাদের উত্তরপত্রের নির্দেশিত স্থান থেকে উত্তর লেখা আরম্ভ বা শুরু করতে হবে এবং প্রবেশপ্রত্র বা উত্তরপত্রের শেষের পৃষ্ঠায় পরীক্ষার্থীদের জন্য লেখা নিয়মাবলি মেনে চলতে হবে।


টিপস (কভার পৃষ্ঠায় দাগ না দেওয়া): উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া ওই পৃষ্ঠায় অন্য কোনও স্থানে কিছু লিখবে না এবং অযথা কোনও দাগও দেবে না। মনে রাখতে হবে কভার পৃষ্ঠার এ অংশটি কম্পিউটার দ্বারা যাচাই করা হয়। সুতরাং এ পৃষ্ঠার বৃত্ত ভরাটসমূহ সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে।

টিপস (Over writing  না করা): সুন্দর হাতের লেখা অধিকতর নম্বর পেতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক্। তাই উত্তরপত্রটি পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবে। অতি সুন্দর লেখা হলেও পরীক্ষক যেন সহজেই লেখা পড়তে পারেন এবং বুঝতে পারেন। এজন্য Over writing/ লেখা ঘষামাজা পরিহার করতে হবে। বানানের ব্যাপারে অধিক মনোযোগি হতে হবে।

টিপস ১০ (সময়ের সঠিক ব্যবহার): প্রতিটি প্রশ্নের ধরন ও মান বুঝে উত্তরের জন্য সময় বরাদ্দ বা বন্টন করে নিতে হবে। কোনও একটি প্রশ্নের উত্তর ভালো জানা আছে বলে অধিক সময় ধরে ঐ একটি উত্তর দেওয়া যাবে না। সর্বদা মনে রাখতে হবে যে পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনা  পরীক্ষার্থীর জন্য সফলতার একটি অন্যতম উপায়। তাই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট সময় ধরে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শেষ করতে হবে।তাছাড়া বেশি নম্বর পাওয়া যাবে না।                                   




Please share this………..

No comments