পিঠের ব্যথা হওয়া যে রোগের লক্ষণ/Back pain is a symptom of the disease
আমাদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে বসে কাজ করেন। শারীরিকভাবে কার্যকলাপ না করার কারণেও প্রায় সময় আমাদের পিঠে, ঘাড়ে, কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সেইসঙ্গে অনেকের কব্জি, পায়ে, আঙুলেও ব্যথা হয়। এই সমস্যা দ্রুতই কমানো না হলে ভবিষ্যতে বড় রোগের শিকার হওয়া লাগতে পারে।
পিঠে ব্যথাকে অনেকেই অবহেলা করেন। কারণ এই পিঠে ব্যথা কেন হয়, কোন রোগই বা এর জন্য দায়ী, তা অনেকেই জানেন না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
ফাইব্রোমায়ালজিয়া কী
পিঠে ব্যথার একটি বড় কারণ ফাইব্রোমায়ালজিয়া। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা আমাদের পেশিতে ব্যথার সৃষ্টি করে।
যে কারণে আমাদের শরীর ও পিঠে সব থেকে বেশি যন্ত্রণা হয়। এ ছাড়া নারীদের পায়ে ও কোমরে ব্যথা হয় এই রোগে। যারা প্রচুর পরিশ্রম করেন, কিন্তু সেভাবে শরীরকে বিশ্রাম দেন না, অনেক সময় তারাও এই রোগে আক্রান্ত হন।
লক্ষণ
এই রোগের লক্ষণ হয়ত অনেকেই জানেন না।
এই লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যারা প্রায় সময় ক্লান্ত হয়ে যান, ভালোভাবে ঘুম হয় না, প্রচুর মাথা ব্যথা হয়, মাঝে মধ্যে তারা কোনো কিছু ভুলে যেতে থাকেন। এই রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা হয় না। তাই এতে খুব সচেতন এবং সতর্কভাবে থাকতে হয়। শরীরের প্রতি খুব যত্ন নিতে হয়।
আপনার শরীরেও যদি এসব লক্ষণ দেখেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কেন এই সমস্যা হয়
শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মেরুদণ্ডের ওপরের অংশে শক্ত হয়ে যাওয়া। যে কারণে পেশিতে ব্যথা বাড়তে থাকে। আবার পিঠের মাঝখানে ব্যথা হয়। এই ব্যথা কিন্তু এক দিনের ব্যথা নয়। পুরনো ব্যথা থেকে এটি হয়। আর অনেক সময় অনেকের নিতম্বে ব্যথা হয়। আর এই পিঠের ব্যথা সহজে সারতে চায় না। তাই এই পিঠের ব্যথা থেকে বের হতে এবং এই সমস্যা থেকে বের হতে আপনাকে খাদ্যাভাসের ওপর নজর দিতে হবে।
প্রতিরোধের উপায়
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- ভালো ঘুম ঘুমাতে হবে।
- প্রোটিন, ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- এসব কাজ করলে এই সমস্যাটি কমতে পারে। তবে সেই সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া
Post a Comment