কোরবানি গরুর মাংস রান্নার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়/Healthy way to cook sacrificial beef/
⇒গরুর মাংস প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। এটি আয়রনেরও খুব ভালো একটি উৎস, যাকে বলা যায় একদম হিম আয়রন। গরুর মাংসের কিছু অংশ আছে, যেখানে আমিষের চেয়ে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক বেশি। যেমন—মগজ, কলিজা ও ভুঁড়ি। তাই এগুলো খাওয়া পরিহার করা উচিত।
⇒রান্নার আগে দৃশ্যমান ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাট যেগুলো চোখে দেখা যায়, সেগুলো কেটে বাদ দেওয়া যেতে পারে।
⇒মাংস সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিতে পারেন। এতে ভিটামিন, মিনারেলস কিছুটা কমলেও তেল-চর্বি কমে যাবে।
⇒মাংস রান্নার ৩০ মিনিট আগে ম্যারিনেট করে রাখুন। মাংস টক দই, সিরকা/ভিনেগার, লেবুর রস, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা—এগুলো দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। এগুলো খুব উপাদেয় মসলা, যা হজমে সহায়তা করে। এভাবে ম্যারিনেট করে রাখলে মাংস খুব ভালো ও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ বা রান্না হবে।
⇒ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ধীরে রান্না করলে মাংসের নিজস্ব যে তেল আছে, সেটি বের হয়ে যাবে। অতিরিক্ত তেল দেওয়ার দরকার নেই।
⇒ অনেকে আগেই মাংসে অতিরিক্ত তেল, ঘি, বাটার ইত্যাদি দিয়ে ফেলেন। তখনই গরুর মাংস স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে পড়ে।
⇒গরুর মাংস রান্নায় সবজি দিলে এটি আরো হেলদি হয়ে ওঠে।
যেমন—ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, পেঁপে, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
⇒ অতিরিক্ত ভুনা, অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে গরুর মাংস রান্না না করে মাংস আগুনে ঝলসে নিলে ফ্যাট অনেকটাই চলে যায়।
⇒সবজি দিয়ে মাংস কিমা বা টিকিয়া করে খেতে পারেন। আবার কাবাব করেও খেতেও পারেন।
⇒স্টেক করে ওপরে তেল ব্রাশ করে নিতে পারেন।
⇒যখনই গরুর মাংসের কোনো খাবার রান্না হবে, তখন অবশ্যই সঙ্গে সবজি, সালাদ বা টক দইয়ের কোনো আইটেম রাখতে পারেন। এটি হজমে সহায়ক। রায়তা, ঝাস, চিনি ছাড়া লাচ্ছি ও বোরহানির মতো সাইড ডিশ সঙ্গে রাখতে পারেন।
Post a Comment