বন্ধুত্ব খাঁটি কি না, যেভাবে যাচাই করবেন/How to check if a friendship is genuine or not
‘বন্ধু’ এমন একটা শব্দ, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ, ভালোবাসা, ভরসা। বন্ধু মানেই সুখ-দুঃখের সঙ্গী। সবার জীবনে খুবই অপরিহার্য একটা অংশ বন্ধু। আমাদের বাস্তুসংস্থানটাও যেন এক ধরনের বন্ধুত্ব।
জীবনে আনন্দের মুহূর্তে বন্ধু যেমন পাশে থাকে, তেমনই বিপদের দিনেও হাজির সে।
জীবনে চলার পথে প্রচুর মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই বন্ধু হয়ে ওঠেন। জীবনের সঙ্গে জুড়েও যান।
মনের কথা ভাগ করে নেন। তবে যাদের বন্ধু বলে ভাবছেন, আদৌ তারা মুখোশধারী নয় তো? বুঝবেন কিভাবে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
দুঃসময়ে পাশে থাকে?
খারাপ সময়ে বন্ধুর ভরসার কাঁধ যদি পাওয়া যায়, তাহলে মনোবল বাড়ে। লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু বন্ধু কি আপনার সমস্যার কথা জেনে পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে এড়িয়ে যাচ্ছেন? দরকারে কোনো সাহায্য না পেলে, তাকে বন্ধু বলে পরিচয় দেওয়ার কোনো মানে নেই।
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত
দুজনের গল্প-আড্ডায় নানা বিষয় নিয়ে কথা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। রাজনীতি থেকে সংস্কৃতি, দুই বন্ধুর আড্ডায় উঠে আসবে নানা বিষয়। তবে সেটা না হয়ে যদি, বন্ধু সবসময় নিজেকে নিয়েই কথা বলেন, তাহলে এই ধরনের মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত। আত্মকেন্দ্রিক মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব না রাখাই ভালো।
যোগাযোগের আগ্রহ কম
বন্ধুত্বে দুই দিক থেকেই যোগাযোগ রাখতে হবে।একতরফা যোগাযোগে আর যাই হোক, বন্ধুত্ব বেশি দিন টিকবে না। অন্য দিক থেকে বন্ধু যদি যোগাযোগ করার প্রয়োজন মনে না করেন, তাহলে সেই সম্পর্ক বন্ধুত্বের নয়। সব সময় নিজের যোগাযোগে উদ্যোগ করলে, এক সময় নিজেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।সূত্র : এই সময়
Post a Comment