Header Ads

মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফের পরিবর্তন, প্রাথমিকে ফিরছে লিখিত পরীক্ষা/Another change in the evaluation system, written exams returning to primary schools

 

মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফের পরিবর্তন, প্রাথমিকে ফিরছে লিখিত পরীক্ষা/Another change in the evaluation system, written exams returning to primary schools

প্রাথমিক স্তরের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পুনরায় যুক্ত হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা। তবে এক বছরের জন্য এই সাময়িক পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছেন শিক্ষা গবেষকরা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ২০২৬ সালের মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ম ও ২য় শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে শ্রেণি মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন করে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা যুক্ত করা হয়েছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ম ও ২য় শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকার কাজের ওপর ভিত্তি করে ২০ নম্বর রাখা হয়েছে। এর বাইরে শ্রেণিকাজে সক্রিয়তার জন্য ৫ নম্বর, ভাষাগত দক্ষতায় ১০ নম্বর এবং ক্লাস টেস্ট বা শ্রেণি অভীক্ষায় ১৫ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।

এনসিটিবি সদস্য অধ্যাপক রিয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আমাদের বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শও ছিল। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

তবে শিক্ষকরা বলছেন, এই নতুন পদ্ধতির জন্য তাঁদের নতুন করে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, ‘যেকোনো নতুন পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় লাগে। আমরা যে পদ্ধতিতে পাঠদান করে আসছি, সেখানে নতুন কিছু যোগ হলে অবশ্যই শিক্ষকদের ট্রেইনআপ করতে হবে।’

শিক্ষা গবেষকরা এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আনন্দদায়ক করার বদলে আরও কঠিন ও পরীক্ষা-নির্ভর করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমরা আবারও পরীক্ষার দিকে ঝুঁকে যাচ্ছি। এই ছোট শিশুদের মধ্যে আবারও পরীক্ষাভীতি তৈরি হবে এবং এটি শিক্ষার গুণগত মানের ক্ষেত্রে বুমেরাং হতে পারে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৭ সালে স্থায়ীভাবে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর কথা থাকলেও মাত্র এক বছরের জন্য এই পরিবর্তন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সামগ্রী প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অর্থের অপচয় ঘটাবে।

No comments